উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭/০২/২০২৫ ৬:৩৬ এএম

ভারতের উত্তর প্রদেশের এক বিয়ের অনুষ্ঠান। সেখানে অতিথিরা উপস্থিত। চলছে সব আয়োজন। কিন্তু আকস্মিক বর করলেন কী! তিনি বার বার তিনবার পাত্রীর বেস্টফেন্ডদের গলায় পরিয়ে দিলেন বিয়ের মালা। এ সময় বর ছিলেন দৃশ্যত মদ্যপ। বিষয়টি আর মেনে নিতে পারছিলেন না কনে। তিনি ক্ষোভের আগুনে তেঁতে উঠলেন। হতাশা থেকে বাতিল করে দিলেন বিয়ে। শুধু এখানেই থামলেন না। বরকে পটাপট বসিয়ে দিলেন কয়েক ঘা চড়। ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় ওই রাজ্যের এই বিয়ের পার্টি নিয়ে সরগরম এখন চারদিক। বিয়ের অনুষ্ঠানে নববধূর গলায় মালা পরানোর আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন সেখানকার মানুষজন। তারই অংশ হিসেবে বর ভুল করে কনের বেস্টফেন্ডের গলায় দু’বার মালা পরিয়ে দেন। একবার বয়স্ক একজন অতিথির গলায় পরিয়ে দেন সেই মালা। পাত্রী আর সহ্য করতে পারছিলেন না। হট্টগোল বাধিয়ে দেন তিনি। বরের গায়ে বসিয়ে দেন কড়া করে চড়। আকস্মিকভাবে ভেঙে দেন বিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে আটকে ফেলা হয় বরকে। শনিবার সন্ধ্যায় বেরেলি জেলার নাউঘবা ভাগবন্তপুর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে বিলম্ব করে উপস্থিত হন পাত্র রবীন্দ্র কুমার (২৬)। এর আগে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বেশ করে মদ গিলেছেন।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে মালাবদল প্রক্রিয়া যখন শুরু হয় তখন রবীন্দ্র কুমার ভুল করে তার নববধূর পরিবর্তে তার সেরা বন্ধুর গলায় মালা পরিয়ে দেন। এক পর্যায়ে নিজের ভুল বুঝতে পারেন তিনি। ফলে সেই মালা খুলে নেন। তারপর তা একজন পুরুষ বন্ধুর গলায় পরিয়ে দেন। এরপর তা একজন বয়স্ক অতিথির গলায় পরিয়ে দেন। এতে উপস্থিত অতিথিরা বিস্ময়ে হা করে রইলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় রাধা দেবী (২১) উঠে গিয়ে রবীন্দ্র কুমারের মুখে থাপ্পড় বসিয়ে দেন। তারপর বিয়ের আসর থেকে উঠে যান। বাতিল করে দেন বিয়ে। এ ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। একপক্ষ অন্যপক্ষের ওপর চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কনের পরিবার পরে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে। তাতে বলা হয়, যৌতুক হিসেবে চার লাখ ৫০ হাজার রুপি পরিশোধ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও রবীন্দ্র কুমারের পরিবার আরও যৌতুক দাবি করছিল। রাধা দেবীর ভাই ওমকারা বর্মা বলেন, পাত্রপক্ষ তাদেরকে অবমাননা করার নাটক সাজিয়েছিল। এ ছাড়া রবীন্দ্র কুমার নিজের পেশা সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছে। রবীন্দ্র কুমার নিজেকে একজন কৃষক হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। আসলে সে একজন ট্রাকচালক। ওইদিন ভোর ৪টা পর্যন্ত রবীন্দ্র কুমার ও তার বন্ধুরা পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। তার মেডিকেল পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তার শরীরে মাদকের ক্রিয়া রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতের যৌতুকবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। ওদিকে বিয়েটা মেনে নেয়ার জন্য পরিবার অনুরোধ সত্ত্বেও মিস রাধা দেবী তা বিবেচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

চটপটির দোকান দেখিয়ে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া নওরোজের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

চটপটির দোকান দেখিয়ে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী নাজমী নওরোজের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ ...

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন নাহিদের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি

কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায় বিমান বাহিনীর সদস্যদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় একদিন ...